ভূমিকা ও ফেসবুকের বাস্তবতা
ফেসবুক তরুণ প্রজন্মের মাঝে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের কারণও। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি গভীরভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। অশ্লীলতা, পরকীয়া, সময়ের অপচয় — এসব ফেসবুকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে গেছে। তাই শরীয়তের আলোকে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
কিছু সাধারণ যুক্তি ও তার খণ্ডন
অনেকে বলেন, ফেসবুক দিয়ে দাওয়াতের কাজ করা যায়। অথচ টিভিও দাওয়াতের মাধ্যম হতে পারে — এমনটা কেউ মেনে নেয় না। তাহলে ফেসবুকও নয়। কেউ বলেন, ফেসবুক থেকে নাস্তিকদের বক্তব্য জেনে জবাব দেওয়া যায়। তাহলে সিনেমাও দেখা উচিত? — যুক্তিটা দুর্বল। গুনাহর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে গুনাহ রোধ হয় না।
শেষকথা ও শরয়ী মূলনীতি
শরীয়তের মূলনীতি হলো, উপকারিতা ও অপকারিতা একত্রিত হলে — ক্ষতির দিকটিই প্রাধান্য পায়। আর যে জিনিসে গুনাহের ঝুঁকি থাকে, সেটি পরিত্যাগ করা ওয়াজিব। সুতরাং ফেসবুকের বর্তমান রূপ শরীয়ত অনুযায়ী জায়েয নয় এবং এ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
সাধারণ জিজ্ঞাস্য (FAQs)
ইসলামের দৃষ্টিতে ফেসবুক ব্যবহার কি জায়েয?
না, অধিকাংশ আলেমের মতে বর্তমান ব্যবহারের প্রেক্ষিতে ফেসবুক জায়েয নয়।
ফেসবুক ব্যবহার করে দাওয়াত দেওয়ার বিষয়টি কি বৈধ?
না, ফেসবুক দাওয়াতের কার্যকর মাধ্যম নয়, বরং অধিকাংশ সময় ফিতনার ক্ষেত্র।
ফেসবুককে দৈনিক পত্রিকার সাথে তুলনা করা কি যুক্তিসঙ্গত?
না, কারণ পত্রিকায় অশ্লীলতা, প্রেম, গুনাহের সহজ সুযোগ নেই।

এখানে আপনার মতামত দিন 🥰
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন